বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:১৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গোবিন্দগঞ্জে শীতের প্রকোপ কমে যাওয়ার সাথে সাথেই শুরু হয়েছে বোরো ধান চাষ-আবাদ। এ জন্য ব্যস্ত সময় পাড় করছে চাষীরা। সার, সেচসহ কৃষি উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বোরো চাষের ব্যয়ও বেড়েছে। সকল সঙ্কট কাটিয়ে অনুকূল আবহওয়ায় বোরো ধানের ভালো ফলনের আশা কৃষকদের। বোরা চাষ নির্বিঘœ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
মধ্য জানুয়ারি থেকে এ উপজেলায় বোরো ধান চাষ শুরু হয়ে থাকলেও শীতের প্রকোপ কমে আসায় অনুকূল আবহাওয়ায় এখন পুরোদমে বোরো রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক। মাঠে মাঠে চলছে কৃষকের জমিতে হাল দেওয়া, জমি কাদা করা, বীজ তলা থেকে চারা উঠানো এবং বোরো চারা রোপনের কাজ। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ বছর জেলায় ১ লক্ষ ২৯ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এরমধ্যে ৪৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড, আর উচ্চ ফলনশীল বা উফশী জাত ৮৪ হাজার ৫০০ এবং ৪১০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় ধান চাষ করা হবে ধারণা করছে। এ জন্য ৭ হাজার ৪৩১ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। আর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় এবার বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্দ্ধারণ করা হয়েছে ৩১ হাজার ৯৮ হেক্টর। সার তেলসহ কৃষি উপকরণ ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় বোরো চাষের ব্যয়ও বেড়েছে।
কৃষকরা বলছেন শীত ও ঘন কুয়াশা কমে আসায় সময় মত বোেরা চাষ শুরু করতে পেরেছেন তারা। সার, সেচ ও কৃষি উপকরণ ব্যয় বৃদ্ধিতে বোরো আবাদের ব্যয় বাড়লেও অনুকূল আবহাওয়ায় এ বোরো ধান আবাদে ভালো ফলন আশা করছেন চাষীরা। উপজেলা কৃষি কর্মকতা মোঃ মেহেদী হাসান জানান, বোরো আবাদ নির্বিঘœ করতে আদর্শ বীজতলা তৈরি, কুয়াশার ক্ষতির হাত থেকে বোরো বীজতলা রক্ষাসহ বোরো রোপনে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। এতে করে বোরো বীজতলাগুলো রক্ষা পাবে। সেই সাথে বোরো চাষ নির্বিঘœ করতে সব ধরণের সহায়তা করার কথা জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।